ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

‘উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের প্রধান সংকট হচ্ছে কোয়ালিটি’

নিজেস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৪ ১০:০২:৫০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৪ ১০:০২:৫০ অপরাহ্ন
‘উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের প্রধান সংকট হচ্ছে কোয়ালিটি’ ছবি:সংগৃহীত
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন বলেছেন, ‘চা শিল্পের সমস্যা একেকটা জায়গায় একেকরকম। উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের প্রধান সংকট হচ্ছে কোয়ালিটি। পঞ্চগড়ের চা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কেটিংয়ের ব্যাপারে। এখানে চাষিদের উন্নতি করতে হলে কাঁচা চা পাতার কোয়ালিটি বাড়াতে হবে।’
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে চা বোর্ডের পঞ্চগড়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি।


মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের চা চাষিরা ক্ষুদ্র চা কারখানা গড়ে তোলার আবেদন জানিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে ক্ষুদ্র চা কারখানা অনুমোদন দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে সিন্ডিকেট দূরীকরণসহ চোরাচালানের বিষয়ে তৎপর থাকার কথাও জানান তিনি।তিনি বলেন, ‘ফ্যাক্টরিতে কিছু সিন্ডিকেটের ব্যাপারও আছে। যদি চাষিরা কোয়ালিটি চা পাতা দেয় তাহলে অবশ্যই তাকে ন্যায্যমূল্য দিতে হবে। আন্ডারগ্রাউন্ডে চা বিক্রির একটা বদনাম আছে, যা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি। আমি অস্বীকার করবো না। এ এলাকার ফ্যাক্টরির যারা আছেন তাদের এ বিষয়ে বদনাম আছে। এ জন্য আমরা মনিটরিং বাড়াবো। আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করবো। এখানে কম্পিটিশন বাড়াতে হবে। যাতে মনিপলি না হয়।’

এখানকার ক্ষুদ্র চা চাষিরা ক্ষুদ্র চা কারখানার ব্যাপারে প্রয়োজনীয়তার কথা উপস্থাপন করে জানিয়ে শেখ মো. সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি চেষ্টা করবো নিয়মনীতির ভেতরে থেকে এটা যদি করা যায় আমরা সেটা করবো। আমি পারসোনালি ফিল করি, যদি নিয়মটা রিফ্রেম করেও করা যায় তাহলে চাষিরা যেমন উপকৃত হবেন, রাষ্ট্রও তেমনি উপকৃত হবে।এর আগে দুপুরের পর আঞ্চলিক কার্যালয়ের মিলনায়তনে উত্তরাঞ্চলের ক্ষুদ্র চা চাষিদের চা আবাদ সম্প্রসারণ এবং চায়ের গুণগত মান উন্নয়ন শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা করেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র চা চাষিদের মধ্যে প্লাকিং মেশিন, চা ও ছায়াতরুর চারা বিতরণ করা হয়। এ সময় ক্ষুদ্র চা চাষি, বাগান মালিক, কারখানা কর্তৃপক্ষ, বায়ার-বিটারসহ চা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন চেয়ারম্যানের সামনে।

বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমির হোসেনসহ চা চাষি, বাগান মালিক, কারখানা কর্তৃপক্ষ, বায়ার-বিটারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Voice Protidin Desk

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ